-17%

DIAMOND|| হীরা

৳ 6,000.00 ৳ 5,000.00

হীরা অতীব কঠিন, সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় রত্ন। হীরার ইংরেজী “ডায়ামন্ড” শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘এডামাস’ (ADAMAS) থেকে, যার মানে কঠিন বা “অপরাজেয়”। হীরা সত্যিই অপরাজেয়। অর্থাৎ হীরা দিয়েই হীরা কাটা যায়। লক্ষ বছর পুর্বে মৃত্তিকার অনেক অনেক নিচে নিখাদ কার্বন থেকে আগ্নেয়গিরির তাপ এবং চাপে হীরার জন্ম। হীরা যে নলাকৃতি অনুভূমির পাথরের খোড়লে জন্ম নেয় তাকে বলা হয় কিম্বার্লাইট অথবা ল্যামপোরটি। পাইপের আকারের আগ্নেয়শিলাই যে হীরার মূল উৎস তা প্রথম জানা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লিতে। কিম্বার্লির নামেই আগ্নেয়গিরিজাত শিলার নামকরণ হয় কিম্বার্লাইট (KIMBERLITE) ।

  • Description
  • Reviews (0)
  • হীরা পাথরের কিছু উপকারিতা:

Product Description

হীরাকে আরবীতে অলম্পাস বলা হয়। বর্তমান পৃথিবীতে হীরা সবচেয়ে দুস্প্রাপ্য ও মূল্যবান। হীরা “আলো-ঝলমলে” ধাতু। হীরার বহুতলে আলো বার-বার একে বেকে যায় বলেই তৈরী হয় বহু রঙা আলোর ফোয়ারা ।

রত্ন বিজ্ঞানীরা হীরাকে তার ভেতরের উজ্জ্বলতা অনুযায়ী বর্ণের দিক থেকে চার ভাগে ভাগ করেছিলেন । (১) ব্রাহ্মণ-সাদা রঙ্গের হীরা। (২) ক্ষত্রিয়-লাল রঙ্গের হীরা। (৩) বৈশ্য-হলুদ রঙ্গের হীরা এবং (৪) শুদ্র-কালো রঙ্গের হীরা। বিন্দু ও রেখাবর্জিত সাদা উজ্জ্বল হীরাকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয় এবং তার নাম দেওয়া হয়েছে “কমলহীরা”। খাঁটি বা প্রাকৃতিক হীরা শীতল ও পিচ্ছিল জ্যোতি দেখা যায়। আসল হীরা আগুনে পোড়ালে কয়লা হয়ে যায়। সকলেই জানে যে হীরা দ্বারা কাঁচ কাটা যায়। উজ্জ্বল ও জ্যোতিহীন, দাগ বিন্দুযুক্ত হীরা ব্যবহার করা উচিত নয়। খনি থেকে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হীরা উজ্জ্বল ও জ্যোতির্ময় থাকে না। হীরা না কাটলে তার ভেতরকার জৌলুস প্রকাশ পায় না। একে কেটে পলিশ করে উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় করে গড়ে তোলা হয়। আজ পৃথিবীর ভারতের বোম্বে, তেলআভিব, ব্যাংকক, এ্যান্টরুপ ও আমেরিকার নিউইয়র্কে হীরা কাটা ও ঘষামাজা করা হয়।

কার্যকারীতাঃ তেজ, সন্মান, গৌরব, বল বৃদ্ধি, দৈহিক লাবণ্য বৃদ্ধি, দাম্পত্য সুখ ও শুক্র গ্রহের অশুভ প্রভাব দূর করে।

প্রাপ্তিস্থান :  ভারতের গোলকুন্ডা হীরা খনি। কিন্তু বর্তমানে এই খনি পরিত্যক্ত। ১৭২৫ সালে আর একটি হীরার খনি আবিষ্কার হয় ব্রাজিলে। ব্রাজিলের খনি থেকেও উজ্জ্বল বড় হীরা পাওয়া যায়। অতঃপর এ যুগে দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লীতে বৃহত্তম হীরা খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানকার হীরা সুন্দর ও ঝলমলে। বর্তমানে পৃথিবীর ৯০ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে কিম্বার্লী একাই। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে লম্বা হীরার খনি দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লীতে। এছাড়া হীরা পাওয়া যায় দক্ষিণ আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানে। ১৯৭৯ সালে আরেকটি বড় হীরার খনি আবিষ্কৃত হয় পশ্চিম অষ্ট্রেলিয়ায়। ১৯৮৮ সালে অষ্ট্রেলিয়া ৩৪ মিলিয়ন ক্যারেট হীরার সন্ধান পায়। যা, গোটা পৃথিবীর হীরার তিন চতুর্থাংশের সমান। লন্ডনের ডিবাইর্স সেন্ট্রাল সেলিং অর্গানাইজেশনের মূল ভবনেও প্রচুর পরিমানে হীরা আবিষ্কৃত হয়।

হীরা কৃষ্টালীন কার্বনের রাসায়নিক উপাদান। গ্রাফাইটের সমগোত্রীয় অথচ বিপরীত ধর্মী। গ্রাফাইট নরম, হীরা অতীব কঠিন। খনি থেকে তোলার পর ৮০ ভাগ হীরাই কাটিং-এ বাতিল হয়ে যায়। বাকী ২০ ভাগ সেটিং, ওজন, বর্ণ, গঠন ও শুদ্ধতা অনুযায়ী শ্রেণীভুক্ত করা হয়।

হীরা পাথরকে শুক্র গ্রহের পাথর বলা হয়ে থাকে। যাদের বৃষ রাশি (Taurus, April 21- May20) মিথুন রাশি (Gemeni, May 21- Jun 20) তুলা রাশি (Libra, Sept: 21 – Oct 20) কন্যা রাশি (Virgo, Aug 21-Sept 20) তাদের জন্য বিশেষ উপকারী হীরা পাথর। শুক্র গ্রহ সৌন্দর্য ও আভিজাত্যর প্রতীক ফলে হীরা পাথর ব্যবহারে সৌভাগ্য, সৌন্দর্য ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়।

Reviews

There are no reviews yet.


Be the first to review “DIAMOND|| হীরা”

 জ্যোতিষশাস্ত্রে অশুভ শুক্রের জন্য হীরা রত্ন ধারণ করতে বলা হয়েছে। সম্পদ, সুখ এবং বিজয়ের প্রতীক বলে হীরাকে ধারণ করা হয়। বিভিন্ন প্রকার যৌনরোগ, স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, শিল্পকলা, নারী পুরুষের রতি শক্তি বৃদ্ধি, স্বামী-স্ত্রীর সুখী দাম্পত্যজীবন গড়তে হীরা খুবই ফলদায়ক।